শনিবার, ২৮ Jun ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের আলোচিত সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। আজ বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হামীমুন তানজীন এর আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে কোন রিমান্ড আবেদন না করার আদালত কোন রিমান্ড দেয়নি। এসময় উৎসুক জনতা ইয়াবা ও বদি বিরোধী স্লোগান দেন। সাবেক এই এমপিকে আদালতে নিয়ে আসা হলে শত শত উৎসুক জনতা আদালত প্রাঙ্গনে ভিড় জমান এবং বদি ও ইয়াবা বিরোধী স্লোগান দেন। এসময় আদালতের মাধ্যমে এই বিতর্কিত এমপির ফাঁসি দাবি করেন। অনেকেই বলছেন, এই ক্ষমতাধর এমপি বদির কারণে শুধু কক্সবাজার নয়, পুরো দেশ ইয়াবার রাজ্যে পরিণত হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী এডভোকেট আবু ছিদ্দিক ওসমানি জানান, ‘আজ বিকালে র্যাবের একটিদল টেকনাফের একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় বিতর্কিত সাংসদ আবদুর রহমান বদিকে র্যাবের একটিদল গ্রেপ্তার করে বিকালে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এসময় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হামীমুন তানজীন এর আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
২০১৪ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা ১১ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর কারাগার থেকে ছাড়া পান সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি। পরে ২০১৫ সালে দুদকের এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। ওই সময়েই একজন প্রকৌশলীকে পিটিয়ে বেশী আলোচনায় আসেন। তবে এতকিছুর পরেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকায় ইয়াবা পাচারের হোতা হিসেবে আব্দুর রহমান বদির নাম এলেও তখনকার সময়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, ‘এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে এখনও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরপর বদি হয়ে উঠে আরো বেপরোয়া। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধদিপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালকিায় নাম এলেও প্রকাশ্যে ইয়াবার রাজ্যে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বদি ও তার সহযোগীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর থেকে গা ঢাকা দেয় আব্দুর রহমান বদি। পরে মঙ্গলবার রাতে টেকনাফের একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ভয়েস/আআ